ঢাকা ১১:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo তিন সপ্তাহের মধ্যে শেষ হতে পারে গাজা যুদ্ধ : ট্রাম্প Logo রাজশাহীতে সেনাবাহিনীর টহল ভ্যানে ট্রাকের ধাক্কায় ৮ সেনাসদস্য আহত Logo স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে টেকনিক্যাল মোড়ে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ Logo চীনের ওপর ২০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের Logo ইসরায়েলি হামলায় একদিনে গাজায় আরও ৮৬ ফিলিস্তি নিনিহত Logo সীমানা পুনর্নির্ধারণে নির্বাচন কমিশনের তৃতীয় দিনের শুনানি শুরু Logo নতুন সংবিধান ছাড়া নির্বাচনে যাবে না এনসিপি Logo পরকীয়ার অভিযোগ, গোবিন্দকে ডিভোর্স দিচ্ছেন স্ত্রী Logo হামাস যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেও গাজা দখল করবো: নেতানিয়াহু Logo ড. ইউনূসের কারণে বিশেষ সুবিধা পেয়েছে বাংলাদেশ : প্রেসসচিব
হটাৎ শীত বাড়ায় বেড়েছে রোগের প্রকোপ

নওগাঁ সদর হাসপাতালে বাড়তি রোগীর  ঢল, জায়গা হচ্ছে না

বেড না পাওয়ায় রোগীদের চলছে মেঝেতে চিকিৎসা

নওগাঁয় শীতের প্রকোপ বাড়ার সংগে সংগে বেড়েছে শীত জনিত রোগ ।  স্বর সর্দি  ডায়রিয়া নিউমোনিয়ায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে   শিশু ও বয়স্করা ।গত  তিন দিনে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার ৩ থেকে ৪ গুন বেশি রোগী ভর্তি হয়েছেন । হটাৎ বাড়তির রোগীর ঢলে হাসপাতালে দেখা দিয়েছে শয্য সংকট । চিকিৎসকরা বলছেন বাড়তি রোগীর চাপ সামলাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে তাদের ।

চলতি সপ্তাহ থেকে নওগাঁর বরেন্দ্র জনপদে বেড়েছে শীতের প্রকোপ । রাতে তাপমাত্রা ১০ থেকে ১২ ঘরে নেমে আসলেও দিনে আবার দ্রত বাড়ছে । ছন্দপতন আবাহওয়ায়   প্রভাব পড়েছে জনজীবনে । বেড়েছে  জ্বর সর্দি,  ডায়রিয়া নিউমোনিয়ার প্রকোপ।  আর  বেশি আক্রান্ত হচ্ছে  শিশু ও বয়স্করা । আক্রান্তরা চিকিৎসা নিতে ভীর করছেন সরকারী হাসপাতালে ।  

১৭ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে ৭০  জন ও অন্যান্য বিভাগে  ৩শ’ ৪৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন নওগাঁ সদর হাসপাতালে । ধারণ ক্ষমতার অধিক রোগীর কারণে এক বেডে দু জন আবার অনেককে     হাসপাতালের  মেঝেতে চলছে চিকিৎসা । ভর্তি হওয়া রোগীদের অভিযোগ বাড়তি রোগীর চাপে মিলছে না সু চিকিৎসা ।

শহরের মাষ্টার পাড়া এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে মেয়েকে নিয়ে এসেছেন শিউলী বেগম । তিনি বলেন রাতে ভর্তি হয়ে জায়গা হয়েছে মেঝেতে । প্রচন্ড ঠান্ডা আর নোংরা পরিবেশ খুব বাজে অবস্থার মাঝে থাকতে হচ্ছে । অপর এক জন অভিভাবক জানান, বাথরুম যাওয়া যাচ্ছে না । এদিকে এক অভিভাবক বলেন, এখানে চিকিৎসা নিতে আসলেও ডাক্তাররা ভাল ভাবে দেখেন না । আবার ওই ডাক্তার তার চেম্বারে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে ৬শ টাকা ভিজিট নেন ।

নওগাঁ সদর হাসপাতালসিনিয়র স্টাফ  নার্স আমিনা খাতুন বলেন, হঠাৎ রোগীর বাড়ায় চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। প্রতিদিন ৭০ জন রোগীর জন্য শিশু ওয়ার্ডে ২ জন নার্স তাই খুব বেগ পেতে হচ্ছে তাদের ।   নওগাঁ সদর হাসপাতাল শিশু  কনসালটেন্ড  ডা:  রতন কুমার সিংহ বলেন এ আবহাওয়ায় শিশু ও বয়স্কদের খাবারে সতর্ককতা ও চিকিৎসকের পরামর্শ  মেনে চলতে হবে ।  হটাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে ।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়,  অন্তঃ ও বহির্বিভাগে প্রতিদিন ২ হাজারের বেশি   রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন নওগাঁ সদর হাসপাতালে। যা বিগত দিন থেকে দ্বিগুনের বেশি ।

 

 

 

ট্যাগস

তিন সপ্তাহের মধ্যে শেষ হতে পারে গাজা যুদ্ধ : ট্রাম্প

হটাৎ শীত বাড়ায় বেড়েছে রোগের প্রকোপ

নওগাঁ সদর হাসপাতালে বাড়তি রোগীর  ঢল, জায়গা হচ্ছে না

আপডেট সময় ১২:২৮:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০২২

নওগাঁয় শীতের প্রকোপ বাড়ার সংগে সংগে বেড়েছে শীত জনিত রোগ ।  স্বর সর্দি  ডায়রিয়া নিউমোনিয়ায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে   শিশু ও বয়স্করা ।গত  তিন দিনে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার ৩ থেকে ৪ গুন বেশি রোগী ভর্তি হয়েছেন । হটাৎ বাড়তির রোগীর ঢলে হাসপাতালে দেখা দিয়েছে শয্য সংকট । চিকিৎসকরা বলছেন বাড়তি রোগীর চাপ সামলাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে তাদের ।

চলতি সপ্তাহ থেকে নওগাঁর বরেন্দ্র জনপদে বেড়েছে শীতের প্রকোপ । রাতে তাপমাত্রা ১০ থেকে ১২ ঘরে নেমে আসলেও দিনে আবার দ্রত বাড়ছে । ছন্দপতন আবাহওয়ায়   প্রভাব পড়েছে জনজীবনে । বেড়েছে  জ্বর সর্দি,  ডায়রিয়া নিউমোনিয়ার প্রকোপ।  আর  বেশি আক্রান্ত হচ্ছে  শিশু ও বয়স্করা । আক্রান্তরা চিকিৎসা নিতে ভীর করছেন সরকারী হাসপাতালে ।  

১৭ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে ৭০  জন ও অন্যান্য বিভাগে  ৩শ’ ৪৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন নওগাঁ সদর হাসপাতালে । ধারণ ক্ষমতার অধিক রোগীর কারণে এক বেডে দু জন আবার অনেককে     হাসপাতালের  মেঝেতে চলছে চিকিৎসা । ভর্তি হওয়া রোগীদের অভিযোগ বাড়তি রোগীর চাপে মিলছে না সু চিকিৎসা ।

শহরের মাষ্টার পাড়া এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে মেয়েকে নিয়ে এসেছেন শিউলী বেগম । তিনি বলেন রাতে ভর্তি হয়ে জায়গা হয়েছে মেঝেতে । প্রচন্ড ঠান্ডা আর নোংরা পরিবেশ খুব বাজে অবস্থার মাঝে থাকতে হচ্ছে । অপর এক জন অভিভাবক জানান, বাথরুম যাওয়া যাচ্ছে না । এদিকে এক অভিভাবক বলেন, এখানে চিকিৎসা নিতে আসলেও ডাক্তাররা ভাল ভাবে দেখেন না । আবার ওই ডাক্তার তার চেম্বারে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে ৬শ টাকা ভিজিট নেন ।

নওগাঁ সদর হাসপাতালসিনিয়র স্টাফ  নার্স আমিনা খাতুন বলেন, হঠাৎ রোগীর বাড়ায় চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। প্রতিদিন ৭০ জন রোগীর জন্য শিশু ওয়ার্ডে ২ জন নার্স তাই খুব বেগ পেতে হচ্ছে তাদের ।   নওগাঁ সদর হাসপাতাল শিশু  কনসালটেন্ড  ডা:  রতন কুমার সিংহ বলেন এ আবহাওয়ায় শিশু ও বয়স্কদের খাবারে সতর্ককতা ও চিকিৎসকের পরামর্শ  মেনে চলতে হবে ।  হটাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে ।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়,  অন্তঃ ও বহির্বিভাগে প্রতিদিন ২ হাজারের বেশি   রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন নওগাঁ সদর হাসপাতালে। যা বিগত দিন থেকে দ্বিগুনের বেশি ।