ঢাকা ০৫:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রকাশ্য রাস্তায় ”উজি” পিস্তল নিয়ে মহড়া

রাজধানীতে আবারও দেখা মিলল বিদেশি সামরিক আগ্নেয়াস্ত্র উজির ব্যবহার। রায়েরবাজারে জমিসংক্রান্ত বিরোধে ব্যবহার করা হয়েছে টু টু ক্যালিবারের উজি আগ্নেয়াস্ত্র। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, আতঙ্ক সৃষ্টির লক্ষ্যেই ব্যবহার করা হয়েছে এ পিস্তল।

তবে অস্ত্রধারীদের বক্তব্য, আত্মরক্ষার্থেই বের করা হয়েছে এ অস্ত্র।

১৭ নভেম্বর ২০২২ তারিখের সিসি ক্যামেরায় দেখা যায়, রাজধানীর রায়েরবাজারে চলছে জমি নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ। এর মাঝেই প্রত্যক্ষদর্শীদের মোবাইল ক্যামেরায় ধরা পড়ে বেশকিছু ছবি। এই ছবিতেই দেখা যায় অস্ত্র হাতে চলছে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা।

তবে একটি ছবিতে আটকে যায় চোখ। উজি হাতে দাঁড়িয়ে আছেন সেলিম রহমান। কী এই উজি? বিদেশি সামরিক আগ্নেয়াস্ত্রটি পয়েন্ট টু টু ক্যালিবারের সেমি অটোমেটেড। ২৬০ মিলিমিটার ব্যারেলের ওপেন বোল্ট ও ব্লোব্যাক পরিবারভুক্ত এ আগ্নেয়াস্ত্রের গায়ে পিস্তল লেখা থাকলেও এটি আদতে একটি বিধ্বংসী মেশিনগান। প্রতি মিনিটে ৬০০ রাউন্ড গুলি ছুড়ে শত্রুকে প্রতিহত করতে সক্ষম এই মারণাস্ত্র।

ঘটনার তীব্রতা ছড়িয়ে পড়লে বন্ধ হয়ে যায় রায়েরবাজার শাহ আলী গেটের আশপাশের সব দোকানপাট। আতঙ্কিত হয়ে যায় সাধারণ জনগণ।

এর আগে এলাকায় অস্ত্রসহ মহড়া দেন তিন ভাই সেলিম রহমান, মাহবুবুর রহমান ও নাসিম রহমানসহ তাদের সঙ্গীরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, এ সময় প্রত্যেকের হাতেই ছিল একটি করে আগ্নেয়াস্ত্র। এলাকাবাসীর অভিযোগ, তারা হাবিবুর রহমান ওরফে হাসুর বাড়িতে প্রবেশ করে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাবিবুর রহমান হাসু সময় সংবাদকে বলেন, প্রকাশ্যেই অস্ত্রধারীরা তার ওপর হামলা করে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে উজি পিস্তলের বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রতিপক্ষ আমাদের জমি দখল করতে চায়। আমাদের জমি রক্ষা করা তো আমাদের দায়িত্ব। কেউ চাইলেই তো দখল করতে পারে না। আমরা বিষয়টি প্রতিহত করতে গেলে তারা আমাদের হত্যা করতে উদ্যত হয়। তখন আত্মরক্ষার্থেই বের করা হয়েছিল এ অস্ত্র।

তবে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) মো. ফারুক হোসেন বলেছেন, লাইসেন্স থাকলেও আত্মরক্ষা ছাড়া অন্যকোনো ব্যক্তিগত স্বার্থে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের সুযোগ নেই। ব্যক্তিস্বার্থে এটি কেউ ব্যবহার করতে পারবে না। ঘটনার সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ট্যাগস

প্রকাশ্য রাস্তায় ”উজি” পিস্তল নিয়ে মহড়া

আপডেট সময় ১০:১২:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২২

রাজধানীতে আবারও দেখা মিলল বিদেশি সামরিক আগ্নেয়াস্ত্র উজির ব্যবহার। রায়েরবাজারে জমিসংক্রান্ত বিরোধে ব্যবহার করা হয়েছে টু টু ক্যালিবারের উজি আগ্নেয়াস্ত্র। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, আতঙ্ক সৃষ্টির লক্ষ্যেই ব্যবহার করা হয়েছে এ পিস্তল।

তবে অস্ত্রধারীদের বক্তব্য, আত্মরক্ষার্থেই বের করা হয়েছে এ অস্ত্র।

১৭ নভেম্বর ২০২২ তারিখের সিসি ক্যামেরায় দেখা যায়, রাজধানীর রায়েরবাজারে চলছে জমি নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ। এর মাঝেই প্রত্যক্ষদর্শীদের মোবাইল ক্যামেরায় ধরা পড়ে বেশকিছু ছবি। এই ছবিতেই দেখা যায় অস্ত্র হাতে চলছে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা।

তবে একটি ছবিতে আটকে যায় চোখ। উজি হাতে দাঁড়িয়ে আছেন সেলিম রহমান। কী এই উজি? বিদেশি সামরিক আগ্নেয়াস্ত্রটি পয়েন্ট টু টু ক্যালিবারের সেমি অটোমেটেড। ২৬০ মিলিমিটার ব্যারেলের ওপেন বোল্ট ও ব্লোব্যাক পরিবারভুক্ত এ আগ্নেয়াস্ত্রের গায়ে পিস্তল লেখা থাকলেও এটি আদতে একটি বিধ্বংসী মেশিনগান। প্রতি মিনিটে ৬০০ রাউন্ড গুলি ছুড়ে শত্রুকে প্রতিহত করতে সক্ষম এই মারণাস্ত্র।

ঘটনার তীব্রতা ছড়িয়ে পড়লে বন্ধ হয়ে যায় রায়েরবাজার শাহ আলী গেটের আশপাশের সব দোকানপাট। আতঙ্কিত হয়ে যায় সাধারণ জনগণ।

এর আগে এলাকায় অস্ত্রসহ মহড়া দেন তিন ভাই সেলিম রহমান, মাহবুবুর রহমান ও নাসিম রহমানসহ তাদের সঙ্গীরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, এ সময় প্রত্যেকের হাতেই ছিল একটি করে আগ্নেয়াস্ত্র। এলাকাবাসীর অভিযোগ, তারা হাবিবুর রহমান ওরফে হাসুর বাড়িতে প্রবেশ করে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাবিবুর রহমান হাসু সময় সংবাদকে বলেন, প্রকাশ্যেই অস্ত্রধারীরা তার ওপর হামলা করে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে উজি পিস্তলের বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রতিপক্ষ আমাদের জমি দখল করতে চায়। আমাদের জমি রক্ষা করা তো আমাদের দায়িত্ব। কেউ চাইলেই তো দখল করতে পারে না। আমরা বিষয়টি প্রতিহত করতে গেলে তারা আমাদের হত্যা করতে উদ্যত হয়। তখন আত্মরক্ষার্থেই বের করা হয়েছিল এ অস্ত্র।

তবে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) মো. ফারুক হোসেন বলেছেন, লাইসেন্স থাকলেও আত্মরক্ষা ছাড়া অন্যকোনো ব্যক্তিগত স্বার্থে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের সুযোগ নেই। ব্যক্তিস্বার্থে এটি কেউ ব্যবহার করতে পারবে না। ঘটনার সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।