ঢাকা ১০:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দীর্ঘদিন পর মেরামত হচ্ছে নওগাঁর ঐতিহ্যবাহী ‘লর্ড লিটন সেতু’

স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁঃ  তিলোত্তমা শহর নওগাঁকে দুই ভাগে ভাগ করেছে এক সময়ের খরস্রোতা ছোট যমুনা নদী

পূর্ব ও পশ্চিম নওগাঁকে সেতু বন্ধনে আবদ্ধ করেছে ছোট যমুনা নদীর উপর নির্মিত লর্ড লিটন সেতুটি।

অবশেষে দীর্ঘ সময় পর ঐতিহ্যবাহী এই লর্ড লিটন সেতুর মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। এই কাজ শেষে সেতুটি আবার আগামী ৩০-৪০বছরের জন্য পুরোপুরি ব্যবহারের উপযোগি হয়ে উঠবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

নওগাঁ সড়ক ও জনপদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ব্রিটিশ শাসন আমলে নওগাঁর পূর্ব ও পশ্চিম অংশকে সংযোগ করার জন্য তৎকালীন লর্ড লিটন ছোট যমুনা নদীর উপর এই সেতুটি নির্মাণ করেছিলেন। তাই তার নাম অনুসারে এই সেতুটির নামকরন করা হয় “লর্ড লিটন সেত”।

এর দীর্ঘ দিন পর যখন সেতুটির ভগ্নদশার সৃষ্টি হয় তখন স্বাধীনতা পরবর্তি সময় ১৯৮৪ সালে সেতুটিকে মেরামত করে বর্তমান আকারে নিয়ে আসা হয়।

এরপর থেকে সেতুটিতে কোন মেরামত কিংবা মজবুতীকরনের কোন ছোঁয়া স্পর্শ না করায় সেতুটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় চলে আসে। সেতুর অনেক অনেক জায়গায় বড় বড় ছিদ্রের সৃষ্টি হয়েছিলো। আর সেই ছিদ্রগুলোতে উচু জোড়াতালি দেওয়ার কারণে সেতুর পুরো অংশ ব্যবহার করা সম্ভব ছিলো না। যার কারণে এই সেতুর উপর অধিকাংশ সময় প্রচন্ড যানযটের সৃষ্টি হতো। এই সেতুটি পার হতে স্বভাবতই সময় অনেক বেশি লাগতো।

এমন অবস্থা থেকে ঐতিহ্যবাহী এই সেতুটির স্থায়ীত্ব বৃদ্ধি করতে এবং সেতুটি মজবুত করার লক্ষ্যে প্রকল্প হাতে নেয় নওগাঁ সওজ বিভাগ। সরকার সেই প্রকল্পটি অনুমোদন দিয়ে অর্থ বরাদ্দ দেওয়াই সেতুটির এই মেরামত কাজ শুরু করা হয়েছে।

নওগাঁ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার সাজেদুর রহমান সাজিদ বলেন, লিটন সেতুটি নওগাঁর একটি ঐতিহ্য। কিন্তু দীর্ঘ সময় সেতুটিতে কোন মেরামতের কাজ না করায় এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ন হয়ে পড়েছিলো। সেতুটি নওগাঁর জন্য অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ন হওয়ার কারণে সওজের পক্ষ থেকে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয় এবং সরকার বাহাদুর ৪৪ লাখ টাকার সেই প্রকল্প অনুমোদন দেয়।

তাই আজ ঐতিহ্যবাহী সেতুটি মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে। এই মেরামতের কারণে সেতুটি অনেকটাই আগের অবস্থায় ফিরে পাবে। মেরামতের পর পথচারীরা সেতুটির পুরো অংশই ব্যবহার করতে পারবেন।

সেতুটির যে যে অংশগুলো ঝুঁকিপূর্ন রয়েছে তার সবকিছুর স্থায়ীত্ব বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে এই মজবুতীকরন কাজ করা হচ্ছে। আমরা আশা করছি সেতুটির মেরামতের পুরোপুরি কাজ শেষ হয়ে গেলে শহরবাসীরা নতুন একটি লর্ড লিটন সেতু উপহার পাবেন এবং সেতুটির উপর আর কোন যানযটের সৃষ্টি হবে না।

দীর্ঘদিন পর মেরামত হচ্ছে নওগাঁর ঐতিহ্যবাহী ‘লর্ড লিটন সেতু’

আপডেট সময় ০৭:২২:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ এপ্রিল ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁঃ  তিলোত্তমা শহর নওগাঁকে দুই ভাগে ভাগ করেছে এক সময়ের খরস্রোতা ছোট যমুনা নদী

পূর্ব ও পশ্চিম নওগাঁকে সেতু বন্ধনে আবদ্ধ করেছে ছোট যমুনা নদীর উপর নির্মিত লর্ড লিটন সেতুটি।

অবশেষে দীর্ঘ সময় পর ঐতিহ্যবাহী এই লর্ড লিটন সেতুর মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। এই কাজ শেষে সেতুটি আবার আগামী ৩০-৪০বছরের জন্য পুরোপুরি ব্যবহারের উপযোগি হয়ে উঠবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

নওগাঁ সড়ক ও জনপদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ব্রিটিশ শাসন আমলে নওগাঁর পূর্ব ও পশ্চিম অংশকে সংযোগ করার জন্য তৎকালীন লর্ড লিটন ছোট যমুনা নদীর উপর এই সেতুটি নির্মাণ করেছিলেন। তাই তার নাম অনুসারে এই সেতুটির নামকরন করা হয় “লর্ড লিটন সেত”।

এর দীর্ঘ দিন পর যখন সেতুটির ভগ্নদশার সৃষ্টি হয় তখন স্বাধীনতা পরবর্তি সময় ১৯৮৪ সালে সেতুটিকে মেরামত করে বর্তমান আকারে নিয়ে আসা হয়।

এরপর থেকে সেতুটিতে কোন মেরামত কিংবা মজবুতীকরনের কোন ছোঁয়া স্পর্শ না করায় সেতুটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় চলে আসে। সেতুর অনেক অনেক জায়গায় বড় বড় ছিদ্রের সৃষ্টি হয়েছিলো। আর সেই ছিদ্রগুলোতে উচু জোড়াতালি দেওয়ার কারণে সেতুর পুরো অংশ ব্যবহার করা সম্ভব ছিলো না। যার কারণে এই সেতুর উপর অধিকাংশ সময় প্রচন্ড যানযটের সৃষ্টি হতো। এই সেতুটি পার হতে স্বভাবতই সময় অনেক বেশি লাগতো।

এমন অবস্থা থেকে ঐতিহ্যবাহী এই সেতুটির স্থায়ীত্ব বৃদ্ধি করতে এবং সেতুটি মজবুত করার লক্ষ্যে প্রকল্প হাতে নেয় নওগাঁ সওজ বিভাগ। সরকার সেই প্রকল্পটি অনুমোদন দিয়ে অর্থ বরাদ্দ দেওয়াই সেতুটির এই মেরামত কাজ শুরু করা হয়েছে।

নওগাঁ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার সাজেদুর রহমান সাজিদ বলেন, লিটন সেতুটি নওগাঁর একটি ঐতিহ্য। কিন্তু দীর্ঘ সময় সেতুটিতে কোন মেরামতের কাজ না করায় এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ন হয়ে পড়েছিলো। সেতুটি নওগাঁর জন্য অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ন হওয়ার কারণে সওজের পক্ষ থেকে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয় এবং সরকার বাহাদুর ৪৪ লাখ টাকার সেই প্রকল্প অনুমোদন দেয়।

তাই আজ ঐতিহ্যবাহী সেতুটি মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে। এই মেরামতের কারণে সেতুটি অনেকটাই আগের অবস্থায় ফিরে পাবে। মেরামতের পর পথচারীরা সেতুটির পুরো অংশই ব্যবহার করতে পারবেন।

সেতুটির যে যে অংশগুলো ঝুঁকিপূর্ন রয়েছে তার সবকিছুর স্থায়ীত্ব বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে এই মজবুতীকরন কাজ করা হচ্ছে। আমরা আশা করছি সেতুটির মেরামতের পুরোপুরি কাজ শেষ হয়ে গেলে শহরবাসীরা নতুন একটি লর্ড লিটন সেতু উপহার পাবেন এবং সেতুটির উপর আর কোন যানযটের সৃষ্টি হবে না।