ঢাকা ০১:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় ২ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু

প্রতীকী ছবি

স্টাফ রিপোর্টারঃ রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দু’জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন কাঁঠালবাগানের এরশাদ আনোয়ার (৫৫) এবং জুরাইনের আলমাছ হোসেন (৪৮)।

বুধবার (২৬ আগস্ট) ভোর ৫টা ও সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

এরশাদের ছোট ভাই মাহমুদ আনোয়ার জানান, তারা কলাবাগান কাঁঠালবাগানের ৬৪/১ নম্বর বাসায় ভাড়া থাকেন। তাদের বাড়ি চাঁদপুর হাজিগঞ্জ উপজেলায়। বড় ভাই আনোয়ার অবিবাহিত ছিলেন। তিনি কিছুই করতেন না।

তিনি জানান, এরশাদ বেশ কয়েক বছর ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। কারো সঙ্গে তেমন মিশতেন না। সব সময় বাসায় থাকতেন। বুধবার সকালে ঘুম থেকে উঠে তিনি বাথরুমে যান।

এরপর অনেক সময় পেরিয়ে গেলেও আর বের হননি। স্বজনদের সন্দেহ হলে তাকে অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি।

পরে বাথরুমের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে ভেন্টিলেটরের সঙ্গে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখা যায়। পরে দ্রুত ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে তার গলায় ফাঁস দেওয়ার কারণ জানাতে পারেনি স্বজনরা।

অন্যদিকে, আলমাছের শ্যালক আবুল হোসেন জানান, আলমাছের বাড়ি চাঁদপুর কচুয়া উপজেলায়। এক ছেলে ও এক মেয়েসহ পরিবার নিয়ে শ্যামপুর জুরাইনে থাকতেন তিনি।

এলাকায় একটি ছাপা কারখানায় কাজ করতেন। বুধবার ভোরে তিনি ফজরের নামাজ পড়তে উঠে দেখেন কলে পানি নেই। এরপর মোটর চালু করতে যান।

মটর সুইচে হাত দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ভোর ৫টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া পৃথক ঘটনায় দু’জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান মরদেহ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাগুলো সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।

ট্যাগস

রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় ২ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু

আপডেট সময় ০১:১৫:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ অগাস্ট ২০২০

স্টাফ রিপোর্টারঃ রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দু’জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন কাঁঠালবাগানের এরশাদ আনোয়ার (৫৫) এবং জুরাইনের আলমাছ হোসেন (৪৮)।

বুধবার (২৬ আগস্ট) ভোর ৫টা ও সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

এরশাদের ছোট ভাই মাহমুদ আনোয়ার জানান, তারা কলাবাগান কাঁঠালবাগানের ৬৪/১ নম্বর বাসায় ভাড়া থাকেন। তাদের বাড়ি চাঁদপুর হাজিগঞ্জ উপজেলায়। বড় ভাই আনোয়ার অবিবাহিত ছিলেন। তিনি কিছুই করতেন না।

তিনি জানান, এরশাদ বেশ কয়েক বছর ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। কারো সঙ্গে তেমন মিশতেন না। সব সময় বাসায় থাকতেন। বুধবার সকালে ঘুম থেকে উঠে তিনি বাথরুমে যান।

এরপর অনেক সময় পেরিয়ে গেলেও আর বের হননি। স্বজনদের সন্দেহ হলে তাকে অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি।

পরে বাথরুমের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে ভেন্টিলেটরের সঙ্গে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখা যায়। পরে দ্রুত ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে তার গলায় ফাঁস দেওয়ার কারণ জানাতে পারেনি স্বজনরা।

অন্যদিকে, আলমাছের শ্যালক আবুল হোসেন জানান, আলমাছের বাড়ি চাঁদপুর কচুয়া উপজেলায়। এক ছেলে ও এক মেয়েসহ পরিবার নিয়ে শ্যামপুর জুরাইনে থাকতেন তিনি।

এলাকায় একটি ছাপা কারখানায় কাজ করতেন। বুধবার ভোরে তিনি ফজরের নামাজ পড়তে উঠে দেখেন কলে পানি নেই। এরপর মোটর চালু করতে যান।

মটর সুইচে হাত দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ভোর ৫টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া পৃথক ঘটনায় দু’জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান মরদেহ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাগুলো সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।