ঢাকা ০৬:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফেসবুকে বন্ধুর সঙ্গে ছবি পোস্ট করায় স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা

ফেসবুকে বন্ধুর সঙ্গে ছবি পোস্ট করায় স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ফ্রেন্ডশিপ ডে উপলক্ষে ফেসবুকে নিজের বন্ধুর সঙ্গে ছবি দেওয়ায় আগুনে পুড়ে খুন হতে হলো এক গৃহবধূকে। নির্মম এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কালনার বড়ঘড়ি এলাকায়।

এলাকাটির বাসিন্দা ও এক বেসরকারি সংস্থার মালিক অভিজিৎ বর্মনের সঙ্গে পায়েলের বিয়ে হয় ১০ বছর আগে।

বিয়ের পর থেকে পণসহ একাধিক দাবিতে পায়েলের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করত স্বামী ও বাড়ির অন্য লোকেরা। স্বাভাবিকভাবেই পণ নিয়ে যে পায়েলের শ্বশুরবাড়িতে ক্ষোভ রয়েছে, তা বুঝতে সময় লাগেনি।

তবুও সংসারে মেয়েকে মানিয়ে চলারই পরামর্শ দিয়েছিলেন পায়েলের বাবা-মা। এরই মধ্যে দম্পতির এক সন্তান জন্ম নেয়। কিন্তু তাতেও অত্যাচার কমেনি শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে। বরং দিন দিন তা চরমে ওঠে।

কয়েকদিন আগে একটি রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলেন পায়েল। সেখানে তার এক পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়। সেই বন্ধুর সঙ্গে নিজের সন্তান ও পরিবারের কয়েকজনকে নিয়ে একটি ছবি তোলেন।

ফ্রেন্ডশিপ ডে-তে ফেসবুকে সেই ছবি পোস্ট করেছিলেন তিনি। এটাই তার অপরাধ। এই কারণেই অত্যাচারের সীমা ছাড়ায় শ্বশুরবাড়িতে।

অভিযোগ চলতে থাকে স্বামীর নিয়মিত মারধর। এরপর গতকাল তা চরমে গেলে পায়েলের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় স্বামী অভিজিৎ।

এরপর রাতেই প্রতিবেশি ও বাপের বাড়ির লোকেরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও পায়েলকে বাঁচানো যায়নি। হাসপাতালেই ভোর রাতে মৃত্যু হয় তার।

পায়েলের বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতোমধ্যে কালনা থানার পুলিশ শাশুড়ি-সহ দু’জনকে আটক করেছে। কিন্তু মূল অভিযুক্ত স্বামী অভিজিৎ বর্মন এখনও পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

ট্যাগস

ফেসবুকে বন্ধুর সঙ্গে ছবি পোস্ট করায় স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা

আপডেট সময় ১১:৫২:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ অগাস্ট ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ফ্রেন্ডশিপ ডে উপলক্ষে ফেসবুকে নিজের বন্ধুর সঙ্গে ছবি দেওয়ায় আগুনে পুড়ে খুন হতে হলো এক গৃহবধূকে। নির্মম এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কালনার বড়ঘড়ি এলাকায়।

এলাকাটির বাসিন্দা ও এক বেসরকারি সংস্থার মালিক অভিজিৎ বর্মনের সঙ্গে পায়েলের বিয়ে হয় ১০ বছর আগে।

বিয়ের পর থেকে পণসহ একাধিক দাবিতে পায়েলের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করত স্বামী ও বাড়ির অন্য লোকেরা। স্বাভাবিকভাবেই পণ নিয়ে যে পায়েলের শ্বশুরবাড়িতে ক্ষোভ রয়েছে, তা বুঝতে সময় লাগেনি।

তবুও সংসারে মেয়েকে মানিয়ে চলারই পরামর্শ দিয়েছিলেন পায়েলের বাবা-মা। এরই মধ্যে দম্পতির এক সন্তান জন্ম নেয়। কিন্তু তাতেও অত্যাচার কমেনি শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে। বরং দিন দিন তা চরমে ওঠে।

কয়েকদিন আগে একটি রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলেন পায়েল। সেখানে তার এক পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়। সেই বন্ধুর সঙ্গে নিজের সন্তান ও পরিবারের কয়েকজনকে নিয়ে একটি ছবি তোলেন।

ফ্রেন্ডশিপ ডে-তে ফেসবুকে সেই ছবি পোস্ট করেছিলেন তিনি। এটাই তার অপরাধ। এই কারণেই অত্যাচারের সীমা ছাড়ায় শ্বশুরবাড়িতে।

অভিযোগ চলতে থাকে স্বামীর নিয়মিত মারধর। এরপর গতকাল তা চরমে গেলে পায়েলের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় স্বামী অভিজিৎ।

এরপর রাতেই প্রতিবেশি ও বাপের বাড়ির লোকেরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও পায়েলকে বাঁচানো যায়নি। হাসপাতালেই ভোর রাতে মৃত্যু হয় তার।

পায়েলের বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতোমধ্যে কালনা থানার পুলিশ শাশুড়ি-সহ দু’জনকে আটক করেছে। কিন্তু মূল অভিযুক্ত স্বামী অভিজিৎ বর্মন এখনও পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।