ঢাকা ০৭:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo বিয়ে না, সম্পর্ক ও রোমান্স করতে চান নায়িকা Logo পোড়া অফিস দেখে বিমর্ষ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ Logo দেশে ফিরেছেন জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী Logo চোখের জলে নয়নকে বিদায় জানালো ফায়ার সার্ভিস Logo ইসরায়েলে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র পাঠাচ্ছে জার্মানি Logo সচিবালয়ে আগুন নাশকতা কি না তদন্তের পর জানা যাবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo সরকারকে ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্রে কেউ জড়িত থাকলে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না: উপদেষ্টা আসিফ Logo কুষ্টিয়া ভাড়া বাসা থেকে নারী পুলিশ সদস্যের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার Logo কিশোরগঞ্জে খেজুরের রস পান করে ‘জয় বাংল’ স্লোগান, কারাগারে ১৫ যুবক Logo সচিবালয়ে আগুন, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আট ও নয় তলা

গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি

আব্দুল মান্নান চৌধুরী   গাইবান্ধা : গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও ঘাঘট নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্র জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় সোমবার দুপুর ৩টা পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্রের পানি তিস্তামুখ ঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৭৮ সে.মি. ও ঘাঘট নদীর পানি নতুন ব্রীজ পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৩ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি আরও মারাত্মক অবনতি হওয়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ফলে পানিবন্দী হয়ে পড়ছে হাজার হাজার মানুষ। এছাড়া পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে নদী ভাঙনও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ভাঙন কবলিত ও পানিবন্দী লোকজন তাদের বাড়ি ঘর ছেড়ে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও গরু-ছাগল নিয়ে নৌকায় করে আসবাবপত্র নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ও উঁচু স্থানে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে।

এদিকে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ফুলছড়ি ইউনিয়নের জামিরা ও নামাপাড়া গ্রামের ৫৭টি, এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের জিগাবাড়ি, আলগারচর, ভাটিয়াপাড়া, পূর্ব হরিচন্ডি, পাগলারচর, তিনথোপা গ্রামে নদী ভাঙনের শিকার হয়ে ৮৫টি পরিবার তাদের বসতভিটা হারিয়েছে। এদিকে আকস্মিক বন্যায় বালাসীঘাটের দক্ষিণ পার্শ্বে ফুলছড়ি উপজেলার রসুলপুর ও কাইয়ারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দুটি বন্যার পানিতে নিমজিত হয়েছে।

 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান জানান, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও গাইবান্ধা শহর রক্ষা বাঁধের বিভিন্ন পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তবে বাঁধ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

অপরদিকে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, ইতোমধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ৫ লাখ টাকা ও ৬০ মে. টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে। তার মধ্যে বন্যা দুর্গতদের মধ্যে বিতরণের জন্য ৪ উপজেলায় ২ লাখ টাকা এবং ৪০ মে. টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা বিতরণের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।

এদিকে জেলা প্রশাসক সোমবার জেলার বিভিন্ন বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, বন্যার্তদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী মজুদ রয়েছে।

বাঁধগুলো যাতে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে সেজন্য ইতোমধ্যে বহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ও ঘাঘট শহর রক্ষা বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে গ্রাম পুলিশসহ স্বেচ্ছাসেবীদের সার্বক্ষনিক তদারকিতে নিয়োগ করা হয়েছে।

ট্যাগস
সর্বাধিক পঠিত

বিয়ে না, সম্পর্ক ও রোমান্স করতে চান নায়িকা

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি

আপডেট সময় ০৫:৫৩:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুন ২০২০

আব্দুল মান্নান চৌধুরী   গাইবান্ধা : গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও ঘাঘট নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্র জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় সোমবার দুপুর ৩টা পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্রের পানি তিস্তামুখ ঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৭৮ সে.মি. ও ঘাঘট নদীর পানি নতুন ব্রীজ পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৩ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি আরও মারাত্মক অবনতি হওয়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ফলে পানিবন্দী হয়ে পড়ছে হাজার হাজার মানুষ। এছাড়া পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে নদী ভাঙনও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ভাঙন কবলিত ও পানিবন্দী লোকজন তাদের বাড়ি ঘর ছেড়ে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও গরু-ছাগল নিয়ে নৌকায় করে আসবাবপত্র নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ও উঁচু স্থানে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে।

এদিকে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ফুলছড়ি ইউনিয়নের জামিরা ও নামাপাড়া গ্রামের ৫৭টি, এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের জিগাবাড়ি, আলগারচর, ভাটিয়াপাড়া, পূর্ব হরিচন্ডি, পাগলারচর, তিনথোপা গ্রামে নদী ভাঙনের শিকার হয়ে ৮৫টি পরিবার তাদের বসতভিটা হারিয়েছে। এদিকে আকস্মিক বন্যায় বালাসীঘাটের দক্ষিণ পার্শ্বে ফুলছড়ি উপজেলার রসুলপুর ও কাইয়ারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দুটি বন্যার পানিতে নিমজিত হয়েছে।

 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান জানান, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও গাইবান্ধা শহর রক্ষা বাঁধের বিভিন্ন পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তবে বাঁধ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

অপরদিকে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, ইতোমধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ৫ লাখ টাকা ও ৬০ মে. টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে। তার মধ্যে বন্যা দুর্গতদের মধ্যে বিতরণের জন্য ৪ উপজেলায় ২ লাখ টাকা এবং ৪০ মে. টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা বিতরণের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।

এদিকে জেলা প্রশাসক সোমবার জেলার বিভিন্ন বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, বন্যার্তদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী মজুদ রয়েছে।

বাঁধগুলো যাতে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে সেজন্য ইতোমধ্যে বহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ও ঘাঘট শহর রক্ষা বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে গ্রাম পুলিশসহ স্বেচ্ছাসেবীদের সার্বক্ষনিক তদারকিতে নিয়োগ করা হয়েছে।