স্টাফ রিপোর্টারঃ পুরো করোনাকাল জুড়ে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য উপজেলা পর্যায়ে বিক্রি করতে বলেছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে দেওয়া আগের আদেশ বাস্তবায়নে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার এমন আদেশ দিয়েছেন বিচারপতি জেবিএম হাসানের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো. হুমায়ুন কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তাপস কান্তি বল।
ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. হুমায়ুন কবির পল্লবের করা রিটের শুনানি নিয়ে গত ০৩ জুন সাতদিনের মধ্যে-
টিসিবির পণ্য উপজেলা পর্যায়ে বিক্রির ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা ১১ জুনের মধ্যে আদালতে জানাতেও বলা হয়েছিল।
আইনজীবী তাপস কান্তি বল জানান, আদালতের আদেশ মতে সারা দেশের উপজেলা পর্যায়ে ১৮ জুন পর্যন্ত টিসিবির ট্রাকসেল চালুর নির্দেশ দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়।
বিষয়টি আদালতকে প্রতিবেদন আকারে দিয়েছি। এরপর আদালত বলেছেন- পুরো করোনাকাল জুড়ে উপজেলা পর্যায়ে ট্রাকসেল অব্যাহত রাখতে।
মো. হুমায়ুন কবির পল্লব বলেন, আজকে বাণিজ্য সচিব ও টিসিবি চেয়ারম্যানের পক্ষে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।
সেখানে ওনারা বলেছেন উপজেলা পর্যায়ে টিসিবি পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটা ১৮ জুন পর্যন্ত চলমান থাকবে।
আমরা বলেছি পুরো করোনাকাল জুড়ে যেন এটি চলমান থাকে। এরপর আদালত আদেশে দিয়েছেন। আদেশে বলেছেন, এ কার্যক্রম যেন করোনাকাল শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলমান থাকে।
এর আগে ৩০ এপ্রিল এ বিষয়ে লিগ্যাল নোটিশও দিয়েছিলেন হুমায়ুন কবির। তখন তিনি জানিয়েছিলেন, সারাদেশের টিসিবি অর্থাৎ ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের মাধ্যমে কম দামে, ১০ টাকা কেজি মূল্যে চাল এবং অন্যান্য সামগ্রী বিক্রি করা হয়।
বর্তমানে এটা শুধু সিটি করপোরেশন এবং কিছু পৌরসভা এলাকার মধ্যে সীমিত। যে কারণে এর সুফল সারাদেশের নিম্নবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত সাধারণ মানুষ ভোগ করতে পারছে না বা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
কিন্তু এই কম দামে খাদ্যদ্রব্য কেনার অধিকার বাংলাদেশের শুধু সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভা এলাকার মধ্যকার মানুষের নয় বরং বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্তে বসবাসকারী একজন সাধারণ মানুষেরও অধিকার রয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশেষ করে নিম্ন এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষ যারা আছেন, তারা ব্যাপক আর্থিক অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং তারা ক্রাইসিসে ভুগছেন।
কিন্তু এই টিসিবির মাধ্যমে কম দামে যেসব পণ্য বিক্রি করা হয় সেটা যদি শুধু সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সারাদেশের উপজেলা লেভেলে বিক্রি করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, তাহলে এই খাদ্য সমস্যা অনেকাংশে দূর হবে।