ঢাকা ০৮:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo বিয়ে না, সম্পর্ক ও রোমান্স করতে চান নায়িকা Logo পোড়া অফিস দেখে বিমর্ষ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ Logo দেশে ফিরেছেন জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী Logo চোখের জলে নয়নকে বিদায় জানালো ফায়ার সার্ভিস Logo ইসরায়েলে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র পাঠাচ্ছে জার্মানি Logo সচিবালয়ে আগুন নাশকতা কি না তদন্তের পর জানা যাবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo সরকারকে ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্রে কেউ জড়িত থাকলে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না: উপদেষ্টা আসিফ Logo কুষ্টিয়া ভাড়া বাসা থেকে নারী পুলিশ সদস্যের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার Logo কিশোরগঞ্জে খেজুরের রস পান করে ‘জয় বাংল’ স্লোগান, কারাগারে ১৫ যুবক Logo সচিবালয়ে আগুন, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আট ও নয় তলা

ডাউনিং স্ট্রিটে ফিরলেন বরিস জনসন

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ   দীর্ঘদিন পর কাজে ফিরলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। প্রায় এক মাস পর সোমবার তিনি কাজে যোগ দিলেন।

বেশ কিছুদিন অসুস্থ থাকা দায়িত্ব থেকে দূরে ছিলেন তিনি। এর আগে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা দেওয়ায় সেলফ আইসোলেশনে ছিলেন জনসন।

১০ দিন আইসোলেশনে থাকার পর হঠাৎ করেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত ৬ এপ্রিল তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনদিন হাসপাতালে থাকার পর তিনি কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠেন।

গত কয়েকদিন বিশ্রাম নেওয়ার পর জনসনের শরীর এখন আগের চেয়ে অনেকটাই ভালো। ফলে সোমবার ডাউনিং স্ট্রীটে নিজের কর্মক্ষেত্রে ফিরলেন এই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। দেশজুড়ে করোনার লড়াইয়ে নতুন উদ্যোমে আবারও কাজ শুরু করবেন জনসন।

গত মাসে জনসনের দেহে করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত নিজের দায়িত্ব পালন করে গেছেন তিনি। শরীরে প্রচণ্ড তাপমাত্রা এবং কাশি নিয়েও একের পর এক ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিয়েছেন জনসন।

গত ৬ থেকে ৯ এপ্রিল তাকে ইন্টেন্সিভ কেয়ারে রাখা হয়েছিল। সেখানে করোনার সঙ্গে রীতিমত যুদ্ধ করতে হয়েছে তাকে। তার শরীরে করোনা মারাত্মক প্রভাব ফেলেছিল। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পরিবর্তে এতদিন করোনা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এদিকে, সোমবার আবারও আগের মতোই কোভিড-১৯ নিয়ে সরকারের প্রাত্যহিক জরুরি বৈঠকে জনসন অংশ নেবেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এখনই ব্রিটেন থেকে লকডাউন তুলে নেওয়া হচ্ছে না। এদিকে, জনসনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোমিনিক রাব বলেছেন, আরও বেশ অনেকটা সময় ধরেই দেশজুড়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথমবারের মতো করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। এখন পর্যন্ত ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে।

তবে এখন পর্যন্ত করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। এই তালিকায় ৬ষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৫২ হাজার ৮৪০।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২০ হাজার ৭৩২ জন। দেশটিতে করোনার অ্যাক্টিভ কেস ১ লাখ ৩১ হাজার ৭৬৪। তবে ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ১ হাজার ৫৫৯ জন।

ট্যাগস
সর্বাধিক পঠিত

বিয়ে না, সম্পর্ক ও রোমান্স করতে চান নায়িকা

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

ডাউনিং স্ট্রিটে ফিরলেন বরিস জনসন

আপডেট সময় ০২:৩৭:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ এপ্রিল ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ   দীর্ঘদিন পর কাজে ফিরলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। প্রায় এক মাস পর সোমবার তিনি কাজে যোগ দিলেন।

বেশ কিছুদিন অসুস্থ থাকা দায়িত্ব থেকে দূরে ছিলেন তিনি। এর আগে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা দেওয়ায় সেলফ আইসোলেশনে ছিলেন জনসন।

১০ দিন আইসোলেশনে থাকার পর হঠাৎ করেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত ৬ এপ্রিল তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনদিন হাসপাতালে থাকার পর তিনি কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠেন।

গত কয়েকদিন বিশ্রাম নেওয়ার পর জনসনের শরীর এখন আগের চেয়ে অনেকটাই ভালো। ফলে সোমবার ডাউনিং স্ট্রীটে নিজের কর্মক্ষেত্রে ফিরলেন এই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। দেশজুড়ে করোনার লড়াইয়ে নতুন উদ্যোমে আবারও কাজ শুরু করবেন জনসন।

গত মাসে জনসনের দেহে করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত নিজের দায়িত্ব পালন করে গেছেন তিনি। শরীরে প্রচণ্ড তাপমাত্রা এবং কাশি নিয়েও একের পর এক ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিয়েছেন জনসন।

গত ৬ থেকে ৯ এপ্রিল তাকে ইন্টেন্সিভ কেয়ারে রাখা হয়েছিল। সেখানে করোনার সঙ্গে রীতিমত যুদ্ধ করতে হয়েছে তাকে। তার শরীরে করোনা মারাত্মক প্রভাব ফেলেছিল। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পরিবর্তে এতদিন করোনা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এদিকে, সোমবার আবারও আগের মতোই কোভিড-১৯ নিয়ে সরকারের প্রাত্যহিক জরুরি বৈঠকে জনসন অংশ নেবেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এখনই ব্রিটেন থেকে লকডাউন তুলে নেওয়া হচ্ছে না। এদিকে, জনসনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোমিনিক রাব বলেছেন, আরও বেশ অনেকটা সময় ধরেই দেশজুড়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথমবারের মতো করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। এখন পর্যন্ত ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে।

তবে এখন পর্যন্ত করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। এই তালিকায় ৬ষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৫২ হাজার ৮৪০।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২০ হাজার ৭৩২ জন। দেশটিতে করোনার অ্যাক্টিভ কেস ১ লাখ ৩১ হাজার ৭৬৪। তবে ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ১ হাজার ৫৫৯ জন।